সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির তৈরি করে কাঁথিতে বাম যুব কর্মীদের মৃতদেহ সৎকার
সুব্রত গুহ, বেঙ্গল রিপোর্ট, পূর্ব মেদিনীপুর: গোটা দেশ সহ রাজ্যে যখন সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যখন দেখা যাচ্ছে চারিদিকে হিন্দু মুসলিম এর নাম করে মানুষে মানুষে হিংসার পরিবেশ, তখন কাঁথি শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির সৃষ্টি করল বাম যুব কর্মীরা। সামনে ভোট রাজনৈতিক ব্যস্ততা তুঙ্গে, তাই নির্বাচনী কাজে দেওয়াল লিখনের কাজ করছিল দারুয়া এলাকার যুব কর্মীরা। ঠিক সেই সময় এক পরিচিত এর মাধ্যমে যুব নেতা তেহেরান হোসেনের কাছে খবর আসে দীঘার বাসিন্দা প্রশান্ত মন্ডল(৬৫) গত তিনদিন আগে থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তিনি বুধবার সকাল ১১ টায় মারা যান।
প্রশান্ত মন্ডলের এক মাত্রপুত্র সন্তান গত দু’বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছে। তার স্ত্রী বাদে তার আর কেউ নেই।স্ত্রীর বয়স প্রায় ৬০ বছর। তিনদিন ধরে যিনি স্বামীর কাছে ছিলেন। মৃত্যুর পরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে তিনি যখন অসহায় হয়ে বসে আছেন,কিভাবে কি করবেন যখন কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না তখন বাম যুব কর্মীরা উনার কাছে গিয়ে সবটা জেনে উনাকে সান্তনা দেয় এবং উনার স্বামীর পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয়।
যে যুব কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন শেখ আশরাফ আলী, শেখ রবিউল, তেহেরান হোসেন, মানিক মাইতি, শেখ আজিজ প্রমুখ। সকলে মিলে মৃতদেহ দাহ করার সমস্ত ব্যবস্থা করেন এবং মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে খড়্গচন্ডী মহাশ্মশানে দাহ করার কাজ সম্পন্ন করেন। যুবনেতা তেহরান হোসেন বলেন “আমরা কখনো হিন্দু-মুসলিম বিচার করি না, আমরা একজন মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। কোন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাকেই আমরা আমাদের মুখ্য কাজ বলে মনে করি।”